Skip to Content

আমাদের বিদ্যালয়


আমাদের বিদ্যালয়ের নাম শত বছরের ঐতিহ্যবাহী শিবপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়টি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। আমাদের শিক্ষাজীবনে প্রাথমিকের একটি সিড়ি ডিঙিয়ে মাধ্যমিকের সিড়িতে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে এ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পাওয়া সত্যিই স্টৌভাগ্যের ব্যাপার। কেননা এ বিদ্যালয়টি যে আমাদের মনুষ্যত্ব ও ছাত্রজীবনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যবলীর ধারক। এ বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও অন্যান্য গুণাবলি অতুলনীয়। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও যেন দেখার মতো। চারপাশের সড়কের কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ থাকলেও বিদ্যালয়ের ভিতরের সৌন্দর্য দেখালে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এ যেন এক শান্তির নীড়। আমাদের বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে শোভিত। চারিদিকে সবুজ গাছপালায় ঘেরা ভবনগুলো যেন তারই ইঙ্গিত দেয়।


আমাদের বিদ্যালয়ের ভবনগুলো অত্যন্ত সুন্দর ও সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সবগুলো ভবনের ক্লাসগুলোতেই

রয়েছে উন্নতমানের প্রযুক্তি। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শ্রেণি পাঠদান সম্পন্ন করে। এছাড়া বিদ্যালয়ে রয়েছে মিলন ায়তন। যেখানে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ছাড়াও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিদ্যালয়ে রয়েছে উন্নতমানের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও ভোকেশনাল ল্যাব। বিদ্যালয়ের দক্ষিণ প্রান্তে রয়েছে সাইকেল স্ট্যান্ড ও ভাষা শহীদের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি শহীদ মিনার। মাঝে রয়েছে বিশাল মাঠ। মাঠের সবুজ মাস গুলো মনকে প্রফুল্ল করে দেয়। আর বিদ্যালয়ের বাগানগুলো যেন বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তোলে। আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী অত্যন্ত দক্ষ, নৈতিকগুণাবলী সম্পন্ন। তারা আমাদের আদর্শের প্রতীক, চেতনার প্রতীক। তারা আমাদের লেখাপড়ার পাশাপাশি চারিত্রিক গুণাবলি গঠনে সাহায্য করে তাদের অবদানের কারণেই আমাদের বিদ্যালয়টি বছরের পর বছর উপজেলা পর্যায়ে সর্বোচ্চ জিপিএ ৫ পাওয়ার পাশাপাশি মেধাতালিকায় প্রথম সারিতে থাকে। বিশেষ করে আমদের প্রধান শিক্ষক জনাব নূরউদ্দিন মোঃ আলমগীর স্যার ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করে আমাদের বিদ্যালয়টি লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মকান্ডে সাফ-ে লার চূড়ায় অবস্থান করছে। সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মকাণ্ডে শিক্ষকবৃন্দ আমাদের পেছনে কঠোর শ্রম দেন। আমরা উপজেল-জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সফলতার মাধ্যমে তারই প্রতিদান পাচ্ছি। উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে আয়োজিত বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আমাদের বিদ্যালয়ের নাম প্রথম সারিতেই থাকে।

টিম স্পিরিট অর্থাৎ জয়ের জন্য যে মনোবল তাতে সব টুর্নামেন্টই জয়লাভ করেছি। বিশেষ করে আমাদের বিদ্যালয় প্রতিবছরই উপজেলা পর্যায়ে ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন হয়। এছাড়া আমাদের বিদ্যালয়ে স্কাউট অত্যন্ত সুশৃঙ্খল। বিদ্যা- লয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সদ্য প্রস্তুত। উপজেলা-জেলা পর্যায়েও আমাদের স্কাউট সফল। সর্বশেষ ৩২তম এশিয়ান প্যাসিফিক জাম্বুরীতে পুরো নরসিংদী জেলার প্রতিনিধিত্ব করে আমাদের স্কাউট। তাই বলা যায় যে, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মকান্ড আমরা শিবপুর উপজেলার অন্যান্য বিদ্যালয়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে। সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আমাদের বিদ্যালয়ের বার্ষিক ফলাফল অত্যন্ত ভালো। প্রতিবছরই বার্ষিক পরীক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক পাস ও জিপিএ ৫ পেয়ে থাকি। এছাড়া প্রতিবছর এসএসসি পরীক্ষায় আমাদের বিদ্যালয় উপজেলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক জিপিএ ৫ এবং অত্যন্ত ভালো ফলাফল করে। পাশাপাশি আমাদের বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বাংলাদেশের মেডিকেল, বুয়েট ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চান্স পেয়ে থাকে। এসব কারণেই আমাদের বিদ্যালয়টি শিক্ষাক্ষেত্রে উপজেলায় শ্রেষ্ঠ ও জেলা পর্যায়ে দারুণ সফল একটি বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি


আমাদের চেতনার প্রতীক, ভালোবাসার প্রতীক। এ বিদ্যালয়টি জন্ম দিয়েছে, অনেক বীর ও আদর্শ সন্তান। আব্দুল মান্নান ভূইয়া, শহীদ আসাদ তেমনই কয়েকজন। তারা আমাদের অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে থাকবে চিরকাল। তাদের আদর্শে জীবন গড়তে পারলেই আমাদের মানবজীবন স্বার্থক। আমরা জ্ঞান বিজ্ঞানের যত উন্নত শিখরেই আরোহন করি না কেন এ বিদ্যালয় আমাদের মূল হয়ে থাকবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এ বিদ্যালয়ের নাম বহন করে আমাদের এগাতে হবে। তাইতো যখনই বিদ্যালয়ের ইউনিফর্ম পরিধান করি তখনই আমার গর্ববোধ হয়। যেই সাথে মানে জাগ্রত হয় ভালো, সত্য ন্যায়ে মানুষ হওয়ার তীব্র আকাঙ্খা। So I belove my school very much.


~জিসান সিদ্দিক খান


পৃথিবীর মানুষের শেষ দিন


২৯৯৯ সালের এক দিন। ব্ল‍্যাকহোলের কাছে চলে আসে পৃথিবী। অনেক গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা এক গ্রহ আবিষ্কার করেছেন। যারা ভেতরের বায়ু মন্ডল মানুষের বসবাসের উপযোগী। গ্রহটির নাম উঅঞঅ- ২৯৫। ২৯৯৯ এর ২১ শে জুন নতুন পৃথিবীর উদ্দেশ্য করে যাত্রা। শুরু করল নামের অখঋঅ-১০৬ এক স্পেসশিপ। স্পেসশিপটিতে রয়েছে ১৪জন মানুষ। নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার হতে যাত্রা শুরু করল মহাকাশ যানটি। এদের মধ্যে যে ১৪জন রয়েছে তার মধ্যে একজন মানবট রয়েছে। মানবট হলো মানুষের তৈরি রোবট। এরা মানুষের বেশ ধরতে পারে। যাত্রার মধ্যে মানবটটি জেগে উঠল। যানটির সুদক্ষ চালক ইশতিয়াক তাকে আটকাতে পারল না। পৃথিবীর মানবটরা সকলকে হত্যা করতে লাগল। স্পেসশিপে থাকা মানবটের ইচ্ছে ছিল স্পেসশিপটাকে ব্লাকহোলের ভিতরে নিয়ে যাওয়া। ৩০০১ সালের ১লা জানুয়ারি পৃথিবীতে একজন মানুষ বেঁচে আছে। নাম তার রাফসান। রাফসানের সামনে দাড়িয়ে আছে এক মানবট। এরই মধ্যে স্পেসশিপ অখঋঅ-১০৬ কে ব্ল‍্যাকহোলের ভিতর নিয়ে গেল। এদিকে রাফসান কী পারবে মানবটের হাত থেকে বাঁচতে? এবং স্পেসশিপটাকে নিয়ে নতুন পৃথিবীতে যেতে?


~মুজাহিদ বিন ওয়াদুদ (শ্রেণিঃ ৭ম)


দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি


বর্তমানে দ্রব্যের উর্ধ্বগতি এটা কোনো নতুন কথা নয়। আমাদের দেশে প্রতি বছরই আমাদের নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে প্রতি বছরই দেশের অনেক দরিদ্র মানুষ নানা রকমের প্রতিকূলতার শিকার হচ্ছে। শুধু দরিদ্র ও গরীব মানুষই নয়, এই সমস্যায় ভোেগছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। যেই জিনিস আজকে সকালে বাজার থেকে ১০ টাকায় ক্রয় করি, সেই সব জিনিসই পরের দিন সকালে ২০ টাকায় ক্রয় করতে হয়। এই দ্রব্য মূল্যের প্রধান কারণ হচ্ছে, ঝড়, বন্যা, খরা ইত্যাদি ফসলের জমিতে ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে, যার ফলে জমির অনেক ফসল নষ্ট হচ্ছে। এর ফলেও দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।


এই দ্রব্য-মূল্যের ঊর্ধ্বগতির ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার যদি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, তাহলে আমার মতে এই দ্রব্য-মূল্যের ঊর্ধ্বগতি কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে এবং আমাদেরকেও এ বিষয়ে নানা রকম প্রস্তাব দিতে হবে সরকারকে


~আকিবুল ইসলাম

বহির্জাগতিক প্রাণ


বহির্জাগতিক প্রাণ বলতেই আমরা এলিয়েনকে বুঝি। এলিয়েন বলতে মূলত সে সকল জীবকে বোঝানো হয় যাদের উৎপত্তি এই পৃথিবীর বাইরে মহাবিশ্বের অন্য কোনো স্থানে। বিজ্ঞানীদের দাবি অনুযায়ী পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব আছে, আবার এই দাবি নিয়ে অনেক বির্তকও আছে। সাম্প্রতিককালে আর্জেন্টিনার সাগরপৃষ্ঠে কিছু উল্কাপিণ্ডতে অতি ক্ষুদ্র জীবাণুর ছাপের মতো কিছু দেখা গেছে, কিন্তু পরীক্ষায় প্রমাণ এখনও চূড়ান্ত নয়। বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর বাইরে কিছু স্থান আছে যেখানে প্রাণ বিকশিত হতে পারে। বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপা, শনির উপগ্রহ ইনসেলাডাস ও টাইটান, গ্লিজে ৫৮১সি এবং গ্লিজে ৫৮১ ডি, সম্প্রতিকালে আবিষ্কৃত Earth-mass এর কাছে বহিঃ সৌরজাগতিক গ্রহের প্রভাবে তাদের সূর্যের কাছে বাসযোগ্য অঞ্চল পাওয়া গেছে। আবার সেখানে পানি থাকার সম্ভাবনা আছে।


পৃথিবীর অনেক দেশের জনগণের বর্ণনা অনুযায়ী তারা আকাশে বহির্জাগতিক প্রাণ বহনকে নির্দেশ করে এমন বস্তু দেখেছে। যাকে বলা হয় ইউএফও অর্থাৎ Unidentified Flying Object বা অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু। অনেকেই দাবি করেন তারা এলিয়েন দ্বারা অপহরণ হয়েছে। ১৯৭৩ সালে আগষ্ট মাসে চার্লস ও কেলফিন বারকার নামক দুই ব্যক্তি দাবি করেন এলিয়েন তাদের অপহরণ করেছিল। তবে পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা তা মিথ্যে বলে ঘোষণা দেন।


মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর, পেন্টাগন জানায়, রসওয়েল নামক স্থানে একবার একটি ইউএফও বিধ্বস্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ভিনগ্রহের প্রাণী সন্ধানে পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য অভিযান হলো SETI (Seacch for Extraterrestrial Intelligence) যা ১৯৬০ সালে ফ্রাঙ্ক ড্রেক প্রতিষ্ঠা করেন। এটি বেতার তরঙ্গ এর মাধ্যমে পৃথিবী থেকে সন্ধান চালায়। পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহেও প্রাণ থাকতে পারে। তা কোনো ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া বা অন্য কোনো


জীবানুও হতে পারে। তা বের করার জন্যই বিজ্ঞানীরা ড্রেকের সমীকরণের সাহায্যে সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে



~নওশিন খান

সম্ভাবনা


আনোয়ার সাহেরের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি তার ছেলে তুতুলকে নিয়ে একটি নতুন বাড়িতে উঠালেন। বাড়িটির নাম পোড়োবাড়ি। গ্রামের লোকজন বলে এখানে নাকি ভূত আছে কিন্তু আনোয়ার সাহেব ও তুতুল ভূতে বিশ্বাস করে না। তাই তারা নিশ্চিন্তেই এই বাড়িতে উঠে পরল। এক রাতে, বাবা শুয়ে আছে। তুতুল নিচের তলায় গিয়ে চাকরকে বলল, এক গ্লাস পানি আর কিছু খাবার দিতে পারবেন। লোকটি পানি ও কাবার নিয়ে এসে তুতুলকে দিয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইল। এই দেখে তুতুল বলল, কিছু বলবেন? লোকটি বলল, এই বাড়িতে ভূত আছে তবে আমি দেখি-ি ন। আপনার কী মনে হয় ভূত কী আছে? তুতুল বলল আমি জানি না। এই বলে খেয়ে-দেয়ে উপরে গিয়ে ঘুমিয়ে পরল। পরদিন তুতুল তার বাবাকে বলল, বাবা ভূতে বিশ্বাস করা দরকার। এ বাড়ির কাজের লোকটা বলল, এখানে নাকি ভূত আছে। বাবা বলল, কাজের লোক মানে আমাদের কোনো কাজের লোক নেই। তুতুল বলল, কালরাত যে লোকটা এল। বাবা বলল, আজই এ বাড়ি ছাড়তে হবে।

 

~ইসতেহাক হোসেন নাফিজ

সামির গল্প

 সামি ঘরে ঘুমাচ্ছিল। এমন সময় বাহিরে কিছু একটার শব্দ শুনে ঘুম থেকে জেগে উঠল। সে বুঝতে পারল না শব্দটা কীসের। মনে হয় শব্দটা বাড়ির পেছন থেকে এসেছে। সামি বিছানা ছেড়ে উঠে বাড়ির পেছনে এসে দেখল গোল আকৃতির স্পেছশিপ দাঁড়িয়ে। সে কাছে যেতেই একটি এলিয়েন বের হয়ে এল, বলল, ভয় পেয়ো না আমি কোনো ক্ষতি করব না। আসলে আমার স্পেছশিপটিতে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই এখানে ল্যান্ড করতে হয়েছে। তোমাদের পৃথিবীতে তাপমাত্রা বেশি কারণ পৃথিবীতে বায়ু দূষণ হচ্ছে প্রতি-নিয়াত। এমন চলতে থাকলে পৃথিবীতে ভয়ানক কিছু হবে। তাই তোমাদের পরিবেশ দূষণ কম করতে হবে, আমি তোমাকে কীভাবে সাহায্য করতে পারি। এলিয়েনটি বলল, একটু পানি দিলেই চলবে, সামি বাড়ি থেকে পানি এনে দিল। এলিয়েনটি পানি দিয়ে তার স্পেডশিপটি ঠিক করল। তারপর এলিয়েনটি যাবার আগে বলে গেল, তোমরা মানুষেরা খুব ভাল। তোমাদের জন্য একটি উপকার করে যাব বলেই চলে গেল। সকালে সামি খবরে শুনতে পেল, পৃথিবী থেকে প্রায় সব ময়লা গায়ের হয়ে গেছে। সামি বোঝতে পারল এটি এলিয়েনটির কাজ। এলিয়েনটি পৃথিবীবাসীকে সাহায্য করে গেছে এক নতুন পৃথিবী গড়ার।


~ইসতেহাক হোসেন নাফিজ

আমার শখের বিদ্যালয়


জীবনে চলতে গেলে এমন কিছু মুহূর্ত আসেহয়ত বা বিদ্যালয় জড়িয়ে থাকে সেগুলোর আশেপাশে মোটা ও মনোরম নগরী শিবপুরের বুকে এসে এই ঐতিহাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাম তার "শিবপুর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদালয়" কত আশা কত ভরসা নিয়ে সবাই আসে তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে। শিক্ষকরাও চেষ্টা করেন তাদের ভরসার মর্যাদা দিতে। কয়েকজন শিক্ষক বেশ মজাদার, আবার কেউ কেউ ঠাণ্ডা আবার কেউ কেউ সর্বদা হাতে নিয়ে ঘুরে চক ও ডাস্টার, সবার একটাই লক্ষ শিক্ষাদান। শিক্ষক, মহাশয় ও ছাত্রদের কাছে এটাই যেন সর্বশ্রেষ্ঠ পাওয়া

 

~আতিয়া আদিবা

মাস্তান সমাচার


যুগের হাওয়া দ্রুত বদলাচ্ছে। এখন ছোটরা আর গুরুবাক্য শিরোধার্য্য মনে করতে চায় না। বড়দের উপদেশ এখন তারা আর শুনতে চায় না।। তাদের কাছে এটা অযাচিত বিড়ম্বনা মনে হয়। তাদের ঘোর আপত্তি। যেদিন থেকে ছোটরা বড় হয়ে বুঝতে শিখেছে, সেদিন থেকে তারা দেখছে চতুর্দিকে বেকার এটা যেন তেতো কুইনিন- যা গলধকরণে যুবকদের মিছিল, অসম প্রতিযোগিতা, ধনী-গরীবের ফারাক, কেউ খেয়ে শেষ করতে পারছে না, আর কেউ কেউ খাবারই পাচ্ছে না। কেউ অসদুপায় টাকার পাহাড় গড়ে চোখ টাটিয়ে দিচ্ছে আর সৎ লোকেরা জীবন সংগ্রামে হিমশিম খাচ্ছে, নুন আনতে পান্তা ফুরাচ্ছে। চতুর্দিকে শুধু দুই নম্বরীর জয় জয়কার। একটা কেরানির চাকারি পেতে হলে লাগে ৫-৬ লাখ টাকা। সৎ থেকে অনেকেরই সমস্যার পাল্লা কেবল ভারীই হচ্ছে। পারছে না তারা সংসারে খরচ চালাতে। লাখ লাখ টাকা খরচ করে সন্তানকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানানোর চিন্তাতো তাদের কাছে বিপদে চালিত করছে। অর্থ উপার্জনের বিকল্প পথ খুঁজতে মানুষকে বাধ্য করছে। অনেকে আবার এসব সমস্যায় জর্জরি হয়ে গাঁজা, আফিম, ভাঙ, হিরোইন সেবনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এসব নেশার জন্যও অর্থের প্রয়োজন। সে কার প্রথমেই অর্থের যোগান দিতে মা-বাবকে উত্ত্যক্ত করে। পরে নিজেরাই মাঠে নেমে পড়ে। এসব ক্ষেত্রে কাছে মাতা করে টাকা রোজগারটাই অতি সহজ রাস্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ মাস্তানীতে পুঁজি তেমন লাগে না। দুয়েক ছোড়া, দা, ক্ষুর, লাঠি, হকিস্টিক, আর বেশির পক্ষে একটা পিস্তলই যথেষ্ট। এতে দৈহিক বলের সাথে মানসিক। বা দৃঢ় তারও সংযোজন খাটাচ্ছে। এরা দেখছে রাজনীতিকদের অনেকেই মাস্তানের পিছনে বিশেষ করে নির্বাচে পিছনে তেজপাতার মতো করে অকাতরে টাকা ঢালছে। বহু ধনীরা তাদের সম্পদ রক্ষার জন্য, ভূমিদস্যুদের দখলের জন্য, প্রভাবশালীরা তাদের প্রভাব অটুট রাখার জন্য অতি সযত্নে মাস্তানদের লালন-পালন করছে। এ দেখেশুনেই জীবন যুদ্ধে হতাশ যুবকেরা মাস্তানের খাতায় নাম লিখাচ্ছেন। ধনীর দুলালদের মধ্যে অনেক হয় মাস্তান হচ্ছে শখের বশে কিংবা সঙ্গদোষে কিংবা পারিবারিক অশান্তির জন্য। জীবনের প্রতি বিস্বাদ গ্রন্থ হয়ে। জুয়া ও নেশার কেন্দ্রগুলো মাস্তান তৈরির উৎকর্ষ প্রজনন কেন্দ্র। এই মাস্তান সম্প্রদায় জন-জীবনের জন্য এক নি সমস্যার কারন হয়ে দাঁড়িয়ে। দোকানিরা, উঠতি ধনীর, ঠিকাদাররা, নতুন বাড়ি বানাতে যাওয়া বেচারা সাদা-সিধে মানুষেরা মাস্তানের শিকার হচ্ছে। তবে অনেক সময় দেখা যায়, মাস্তানরা টাকার বিনিময়ে কিছু। কাজও করে থাকে। ডাকাতের উপদ্রব থেকে এলাকাকে বাঁচাচ্ছে, পাড়ার শান্তি বজায় রাখছে, মানুষের মেরে টাকা উদ্ধার করে দিচ্ছে। এগুলো কিন্তু এরা আবার বিনা টাকা পয়সায় করছে না। অনেকটা গরু মেরে জুতা অবস্থা আর কি। কাজেই দেশের নেতা নেত্রী তথা সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এই মাস্তান সমস্যার সমাধানে আসতে হবে। তাদের শুধু শায়েস্তা করলেই চলবে না, মাস্তান উৎপাদনের কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করে দিতে হবে সম্প্রদায় যেন জীবনের প্রতি হতাশ না হয় এক কথায় মাস্তান যাতে তৈরি না হয় এমন সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় প সৃষ্টি করতে হবে।


 

~রিয়ান হাসান আলভী



তুমি ছিলে সবার কাছে অতি প্রিয় মুখ তোমায় দেখে প্রাণ জুড়োতো পেতো সবাই সুখ।


বাসায় পোষ্য কুকুর টমি। সবার সঙ্গেই বন্ধুত্ব তার। বাসার সবচেয়ে ছোট্ট শিশুটি টমিকে নিয়ে খেলত। একদিন খেলতে খেলতে হঠাৎ টমি ঘেউ ঘেউ করে ওঠে। ভয় পেয়ে যায় শিশুটি। কাদতে কাদঁতে বোনের কাছে গিয়ে বলে টমি আমাকে নব্য দিয়েছে। তার কথা শুনে বাসার সবাই তো হেসে খুন। টমি আবার কি করে সকা দিল। কিন্তু শিশুটি খুবই সিরিয়াস। টমি ওকে বকা দিল এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না শিশুটি। কারণ টমিকে সে খুবই। ভালোবাসে। সেই টাম বকা দিলে খাবার দেয়। নিজের পছন্দের খাবার ভাল করে টমিকে দেয়। সেই ছোট্ট শিশুটির নাম শেখ ব্যাসেল। ১৯৬৪ সালের ১৮ই অক্টোবর ধানমন্ডির বিখ্যাত ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাড়িটি কল্পনায় সে শিখটি আলোকিত করে জন্ম নিল শেখ রাসেল। নদীর কলাচানে, ফুলের বাগানে, প্রজাপতির ডানায় ঘুরে বেড়ার যে শিখ, সে আনানের মহাকালের না ফোটা ফুল শেখ রাসেল। যার রঙের সাথে মিশে আছে এদেশের ইতিহাস। যার যা এখনও তুমে যাচ্ছে এদেশের শিশু। ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট কালোরাতে হায়নারা ঝাঁকড়া করেছে নিষ্পাপ রযোগ্য ঘোট পটার। সেই মতে রাসেল হত্যার সুতি বুনে যায় এদেশের অবনতি কোমলমতি শিশু। শেখ রাসেল জাতির পিতা টানটু শেখ মুজিবুর মতো শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের বুকের ধন, কনিষ্ট সন্তান ও বর্তমান প্রযানমন্ত্রী যেন হাসিনার আদরের ছোট ভাই। বক্ষবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন বজ্রন্ড রাসেলের ভক্ত। বঙ্গবন্ধু চাইতেন তার ১০টি জেগে যেন বাস্তুন্ডি বাসেলের মতো হন। তাই তিনি তার ছোট ছেলের নাম রোগছিলেন শেখ। রাসেল। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুরেশ দিনের যাতা। তিনি সন্তানকে নেতিক শিক্ষা দিয়েছিলেন, শিক্ষা দিয়েছিলেন মানাবারবিট হাসি নিয়ে দিনে দিনে এতাব এতে থাকে। ঢাকা বিশ্বাস শিশু রাসেল এইয়োয়ায়ারিজ ৩২ নম্বর পুরো বাড়ি। ছোট একটা ৬৭ সামিকেল নিয়ে সেন্থাৎ বাড়ির অধিনায় হয়েছিল। শৈশবে সবাই স্বপ্ন দেবে, যত্ন দেখে বড় যথাও। কেউ স্বপ্নে দেখে বস দায় বসে পাইলট, ডাক্তার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘাতক খুনীদের হাতে হত্যায় পিন হদ চিন। ব্যাসেলকে হার আটক করা হয় তখন শিশু রাসেল আতঙ্কিত হয়ে কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন, আমি নায়ের কাছে যেতে চাই, ভোমরা মের না আমায়, বলব অন্যখ আমি আমার কেউ নাই' কিন্তু হায়নারা তাকেও ছাড়ে নাই না, বাধ্য, দুই ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, চাচা সবার লাশের পাশ দিয়ে হাটিয়ে নিয়ে সবার শেষে দু'তাপায় নিয়ে দিয়ে মিন্তুরভাবে হত্যা করেছিল রাসেলকে। কি দোষ ছিল তার? কি অপরাধ করেছিল সে? যার কারণে এমন অথঙ্কন। মৃত্যু যান জারেদিল হায়নারা তাকে।কতটা কষ্ট পেয়েছিল, তার চোখের পানি কেমন করে জড়ছিল ভাবতেও কষ্ট হয়। বোন করে এই ফুলের মতো শিশুকে হত্যা করল হায়নারা, একটুও হাত কাঁপন না হায়নাদের। কিন্তু আজও এই হায়নারা খেলা আকাশের নিচে মাথা উঁচু করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোনো কি শাস্তি হবে না তাদের। তোমরা ভুলে গিয়েছিলে মানুষরূপী অমানুষ। হায়নারদল যে তোমরা শুধু রাসেলের ছোট্ট দেহটাকে হত্যা করেছিল, হত্যা করতে পারনি ব্যাসেলকে বাংলাদেশের মানুষের মন থেকে। শহীদ শেখ রাসেল সবসময় বেঁচে থাকবে বাংলাদেশের সব শিশুর অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে। শহীদ শেখ রাসেল তোমার মৃত্যু নাই। তুমি বেঁচে আছ কোটি শিশুর প্রতীক হয়ে।


 

~ফারজানা সুলতানা জুঁই